BCS International Affairs | যুক্তরাজ্য United Kingdom (UK)

BCS International Affairs | যুক্তরাজ্য United Kingdom (UK)

ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে United King গঠিত। ১৯৪৫ সালে লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে বৃটেন সারা বিশ্বের উপনিবেশগুলোকে স্বাধীনতা দিতে শুরু করে।

সময়ের ব্যবধানে বৃটেনের সংবিধানের কিছু অংশ লিখিত হলেও অধিকাংশই প্রচলিত রীতি ও প্রথা নির্ভর। ব্রিটেন একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজতান্ত্রিক দেশ হলেও প্রকৃত বিচারে সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।

গ্রেট বৃটেনের রাজ্য- ৪টি

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বা আইনসভা

  • ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বা আইনসভার নাম- পার্লামেন্ট
  • ব্রিটিশ পার্লামেন্ট- দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট
  • উচ্চকক্ষের নাম- হাউজ অব লর্ডস
  • নিম্নকক্ষের নাম- হাউজ অব কমন্স
  • পার্লামেন্ট ভবনের নাম- ওয়েস্ট মিনিস্টার প্রাসাদ
  • ওয়েস্ট মিনিস্টার প্রাসাদ অবস্থিত- লন্ডনে টেমস নদীর তীরে
  • বর্তমানে সবচেয়ে প্রাচীনতম সংসদীয় গণতন্ত্র পদ্ধতি চালু রয়েছে- ব্রিটেন। BCS International Affairs

সরকার পদ্ধতি

  •  শাসনতান্ত্রিক রাজতন্ত্র
  • ১৬৮৮ সালে গৌরবময় বিপ্লবের মাধ্যমে ব্রিটেনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • পৃথিবীর প্রাচীনতম গণতন্ত্র প্রচলিত আছে যুক্তরাজ্যে।
  •  রাষ্ট্রপ্রধান- রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ

শিল্প বিপ্লব

  • সময়কাল- অষ্টাদশ শতাব্দী
  • সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পরে- উনবিংশ শতাব্দীতে
  • ভারতীয় উপমহাদেশের কুটির শিল্প ধ্বংস হয়- শিল্প বিপ্লবের ফলে
  • উপমহাদেশে নীল চাষের সূচনা হয়- শিল্প বিপ্লবের ফলে

ব্রিটিশ সংবিধান

  • ব্রিটেনের সংবিধান হলো- অলিখিত সংবিধান।
  • সরকার ব্যবস্থার কাঠামো- এক কেন্দ্রীক সরকার।
  • বৃটেনের শাসনতন্ত্র মূলতঃ- অলিখিত এবং সুপরিবর্তনীয়।
  • বৃটেনের শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রবচন গুলো
  • The King is dead, long live the king
  • The king never dies. The king can do no wrong.
  • The king reigns but does not rule.
  • ব্রিটিশ নারীরা ভোটাধিকার লাভ করে-১৯১৮ সালে
  • যে আইনের মাধ্যমে ভােটাধিকার লাভ করে- Representation of the peoples Act.1918.
  • সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার পীঠস্থান বলা হয়- গ্রেট বৃটেনকে।
  • British Parliament-এর অধিবেশন আহ্বান করেন- রাজা/রাণী। BCS International Affairs

বাকিংহাম প্যালেস

  • ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের বাসভবন
  • অবস্থান ওয়েস্ট মিনিস্টার সিটি, লন্ডন

হোয়াইট হল

  • ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রশাসনিক সদর দপ্তর
  • ব্রিটিশ সরকারের কার্যালয়
  •  অবস্থান- লন্ডন

ব্রিটিশ রাজবংশ

  • রাণী প্রথম এলিজাবেথ- টিউডর বংশের।
  • বৃটেনের টিউডর বংশের প্রতিষ্ঠাতা- রাজা হেনরী টিউডর।
  • ইংল্যান্ডের যে রাণীকে চিরকুমারী অর্থাৎ ভার্জিন কুইন বলা হয়- প্রথম এলিজাবেথকে।
  • ইংল্যান্ডের বর্তমান রানী- উইন্ডসোর রাজবংশের।
  • বৃটেনে প্রধানমন্ত্রীর পদটি সৃষ্টি হয়- রাজা প্রথম জর্জের সময় হতে

ব্রিটিশ রাজা-রানী সমাচার

  • The king never dies বা “রাজার মৃত্যু নেই” প্রবচনটি- বৃটেনের।
  • বৃটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- রবার্ট ওয়ালপেপাল (১৭২১-১৭৪২)।
  • গ্রেট বৃটেনের কনিষ্ঠতম রাজা ছিলেন- ৬ষ্ঠ হেনরী ।
  • বৃটেনে রাজনৈতিক দলের প্রথম মহিলা প্রধান- মার্গারেট থ্যাচার।
  • ইউরোপের লৌহ মানবী নামে পরিচিত ছিলেন- মার্গারেট থ্যাচার।
  •  “ভিক্টোরিয়া ক্রস” সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব- বৃটেনের। BCS International Affairs

ডাউনিং স্ট্রিট

  • ডাইনিং Street হলো একটি বিখ্যাত সড়ক যেটি লন্ডন শহরের প্রাণকেন্দ্রে
  • অবস্থিত। ডাইনিং Street  নির্মাণ করেছিল স্যার জর্জ ডাউনিং ১৬৮০ সালে।
  • ৯ ডাউনিং স্ট্রিট- ব্রিটেনের আইনসভার চীফ হুইপের কার্যালয়
  • ১০ ডাউনিং স্ট্রিট- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন ও কার্যালয়
  • ১১ ডাউনিং স্ট্রিট- ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়
  • ১২ ডাউনিং স্ট্রিট- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস অফিস

আরো পড়ুন: বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

অধিকার সনদ বা আইন

  • ম্যাগনাকার্টা হলো- মূলত একটি চুক্তি, যাকে বলা হয় বৃটিশ শাসনতন্ত্রের বাইবেল।
  • এটি একটি রাজনৈতিক অধিকার সনদ।
  • ম্যাগনাকার্টা (The Great Charter) স্বাক্ষরিত হয়- ১২১৫ সালে
  • ম্যাগনাকার্টা স্বাক্ষর করেন- রাজা জন।
  • ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লব- ১৬৮৮ সালে।
  • ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টের সার্বভৌমত্ব ও নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়- Bill of Rights এর মাধ্যমে
  • ইংল্যান্ডের Bill of Rights স্বাক্ষরিত হয়- ১৬৮৯ সালে।
  • বৃটেনের সংবিধানে যে রাজকীয় কথাটি উল্লেখ রয়েছে-The King Can do no Wrong.

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

  • প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- হেনরী আসকুইথ।
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- উইন্সটন চার্চিল।
  •  রাজনীতিবিদ হয়েও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন- ইন্সটন চাল।
  • উইন্সটন চার্চিল নোবেল পুরস্কার লাভ করেন- ১৯৫৩ সালে।
  • যে গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন-The History of the Second World War.

ভিন্ন তথ্যে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী

  • দীর্ঘকাল ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী- রবার্ট ওয়ালপোল
  • একমাত্র ৪ মেয়াদে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী – উইলিয়াম গ্লাডস্টোন (১৮৬৮-১৯৯৪)
  • কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী- উইলিয়াম পিট (২৪ বছর বয়সে)

To take Best Preparation: Phrasal Verbs List 

অন্যান্য মন্ত্রী

  • বৃটেনের অর্থমন্ত্রীর উপাধী- চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার।
  • বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপাধি হলো “Secretary for Foreign and Commonwealth Affairs”  

বৃটেনের লৌহমানবী

মার্গারেট থ্যাচার

  •  ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী
  • শাসনকাল- ১৯৭৯-১৯৯০
  • ক্ষমতায় ছিলেন- ১১ বছর
  • রাজনৈতিক দল- কানজারভেটিভ পার্টি (রক্ষণশীল দল)
  • রাসায়নিক গবেষণাগারে কাজ করতেন
  • ফকল্যান্ড যুদ্ধ হয়- ১৯৮২ সালে
  • ফকল্যান্ড যুদ্ধকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন
  • ফকল্যান্ড যুদ্ধে জয় লাভের জন্য তাঁকে লৌহ মানবী” বলা হয়
  • মৃত্যুবরণ করেন- ২০১৩ সালে

বৃটেনর রাজা-রাণী অন্যান্য যে সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধান

  • সাংবিধানিক ভাবে বৃটেনের রাজা/রাণীকে তাদের দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বলে মনে করে- ১৬ টি দেশ
  • উল্লেখযোগ্য যে সকল দেশ বৃটেনের রাজা–রাণীকে নিজেদের রাষ্ট্রপ্রধান বলে মনে করে- অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ফিজি এবং পাপুয়ানিউগিনি।

ঘটেনের কয়েকজন খ্যাতনামা ব্যক্তির উপাধী

  • আলফ্রেড দ্য গ্রেট- আইনের শাসক
  • জিওফ্রে চাসার- ইংরেজি কবিতার জনক
  • রানী প্রথম এলিজাবেথ- ভার্জিন কুইন (কুমারী রানী)
  •  রজার বেকন- আধুনিক বিজ্ঞানের জনক
  • ডিউক অব ওয়েলিংটন, আয়রন ডিউক
  • মার্গারেট থ্যাচার-লৌহ মানবী

বিবিধ প্রসঙ্গ

  • বৃটেনের নারীরা ভোটাধিকার পায়- ১৯১৮ সালে (৩০ বছরের উর্ধ্বে নারীরা)। জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রথম মহিলা বিচারক- রোজলিন হিগিন্স (বৃটেন)
  • বৃটেনের সামন্ততন্ত্রের পতন ঘটলে যে রাজ বংশের আবির্ভাব ঘটে- টিউডর বংশ।
  • ওয়াটার লু যুদ্ধে জয়ী ব্রিটিশ সেনাপতির নাম- ডিউক অব ওয়েলিংটন।
  • ভারতে মোঘল শাসনের সময় বৃটেনে রাজত্ব করত- টিউডর বংশীয় রাজা/রানীরা।
  •  ব্রিটিশ সরকারের কার্যালয়- হোয়াইট হল।
  • বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়- ইংল্যান্ডে, ১৯৬৯ সালে। BCS International Affairs

Leave a Comment