Pride and Prejudice Bangla Summary | 1 to last Right

Pride and Prejudice Bangla Summary

জনাব চার্লস বিংলের নেদারফিল্ড পার্ক এস্টেটে আগমনের খবরে পার্শ্ববর্তী লংবার্ন গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় । বেনেট পরিবারের কর্তী মিসেস বেনেট তার পাঁচ কন্যার- জেন, এলিজাবেথ, মেরি বেনেট, ক্যাথেরিন বেনেট অথবা লিডিয়া- যে কোনো একজনকে বিংলের সাথে বিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেন । এক বল নাচের আসরে জেনের সাথে বিংলের প্রথম পরিচয় হয় এবং । অপরদিকে বিংলের জাত্যাভিমানী বন্ধু ফিজউইলিয়াম ডার্সি এলিজাবেথের সাথে বাজে ব্যবহার করে । 

পরবর্তী কয়েকটি নাচের আসরের মধ্য দিয়ে জেন ও বিংলে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে; অন্যদিকে ডার্সি তার উন্নাসিক মনোভাবের বিপরীতে এলিজাবেথের রূপ ও বুদ্ধিমত্তার প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে থাকে । একদিন নেদারফিল্ড পার্কে যাওয়ার পথে বৃষ্টিতে ভিজে জেন অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং সেখানে অবস্থান করতে বাধ্য হয় । এলিজাবেথ তার ষার জন্য সেখানে পৌছায় । বিংলের বোনেরা তার সাথে কখনোই ভালো আরচণ করে না, তাকে ক্রমাগত খাটো করে দেখতে পছন্দ করে । এর অন্যতম কারণ ছিল ডার্সির প্রতি ক্যারোলিন বিংলের আকর্ষণবোধ । কিন্তু, এর পরেও এলিজাবেথের প্রতি ডার্সির আকর্ষণ কিছুমাত্র কমে না; আবার এলিজাবেথও তাকে একজন অহংকারী ব্যক্তি হিসেবেই ভাবতে থাকে । ইতোমধ্যে মি: কলিন্স একজন বিবাহযোগ্য কন্যার খোঁজে বেনেটদের বাড়িতে আসেন । সম্পর্কে তিনি মি: বেনেটের দুরসম্পর্কের ভাইপো, তার যাবতীয় সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী এবং একজন বাক্যবাগীশ ধর্মযাজক । প্রায় একই সময় মিঃ বেনেট এর মেয়েরা জর্জ উইকহ্যাম নামক এক তরুণ মিলিটারি অফিসারের সাথে পরিচিত হয়। এলিজাবেথ তার প্রতি আকৃষ্ট হয় । উইকহ্যাম দাবি করে যে অতীতে ডার্সি তার প্রতি অনেক জুলুম করেছিল, যা শুনে ডার্সির সম্পর্কে এলিজাবেথের ভ্রান্ত ধারণা আরও দৃঢ় হয় ।

পরবর্তীতে নেদারফিল্ডে এক বল নাচের আসরে মিসেস বেনেট অনেকটা ঢাক ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেন যে শীঘ্রই জেন ও বিংলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে, যা ডার্সির মনে প্রচণ্ড বিরক্তির উদ্রেক করে । অপরদিকে মি: কলিন্সের দেয়া বিয়ের প্রস্তাব এলিজাবেথ প্রত্যাখ্যান করে। এতে মিসেস বেনেট ক্ষুব্ধ হলেও মিঃ বেনেট সন্তুষ্ট হন । তখন মি: কলিন্স এলিজাবেথের বন্ধু শার্লট লুকাসকে বিয়ের প্রস্তাব দেন । শার্লট ভালোবাসাকে গুরুত্ব না দিয়ে কেবল সামাজিক নিরাপত্তার প্রত্যাশায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় । ইতোমধ্যে বিংলে হঠাৎ ব্যবসায়িক কাজে লন্ডন গমন করে। ক্যারোলিন জেনকে চিঠি লিখে জানায় যে তারা আর নেদারফিল্ডে ফিরবে না। সে আরো জানায় যে বিংলে ডার্সির বোন জর্জিয়ানাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছে । এই খবর পেয়ে জেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে । এলিজাবেথ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে ডার্সি ও ক্যারোলিন ষড়যন্ত্র করে জেন ও বিংলের বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে । এই সময় তাদের মামা-মামি, মি: ও মিসেস গার্ডিনার জেনকে লন্ডনে তাঁদের বাড়ি থেকে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ জানান, যাতে সে তার দুঃখবোধ কাটিয়ে উঠতে পারে ।

লন্ডনে ক্যারোলিনের সাথে জেনের দেখা হয় । সে ক্যারোলিনের অবন্ধুসুলভ আচরণে আঘাত পায় । ফলে সে যে কেনো বিংলেকে বিয়ে করতে আগ্রহী হয়েছিল, এ কথা ভেবে জেনের নিজের উপরেই ঘৃণা হতে থাকে । এলিজাবেথ শার্লট ও মি: কলিন্সের সাথে দেখা করতে যায় এবং সেখানে সে কলিন্সের পৃষ্ঠপোষক লেডি ক্যাথেরিন ডি বার্গের সাথে পরিচিত হয়, যিনি একজন বিত্তশালী মহিলা এবং ডার্সির আত্মীয়া । ডার্সিও সেখানে উপস্থিত হয় এবং এলিজাবেথের সাথে এক দীর্ঘ পথভ্রমণে বের হয়, যা এলিজাবেথকে চমকিত করে ।

যাই হোক, ডার্সি জেনকে বিয়ে করার ব্যাপারে বিংলেকে নিরুৎসাহিত করেছে জানতে পেরে এলিজাবেথ রেগে যায় । ডার্সি অতীতকে ভুলে গিয়ে এলিজাবেথের প্রতি প্রেম নিবেদন করে এবং তাকে বিয়ে করতে চায় । এলিজাবেথ তার এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে এবং জেনের বিয়ে ভেঙে যাওয়া ও উইকহ্যামের প্রতি রূঢ় আচরণের জন্য ডার্সিকে দায়ী করে । পরবর্তীতে ডার্সি এক চিঠিতে এলিজাবেথের সব অভিযোগের জবাব দেয় । সে জানায় যে তার মনে হয়েছিল জেন বিংলেকে মন থেকে ভালোবাসতে পারেনি । সেজন্যই সে বিংলেকে নিরস্ত করেছিল । সে আরো জানায় যে উইকহ্যাম একজন বদমাশ ও মিথ্যেবাদী । সব জেনে এলিজাবেথের মনে হতে থাকে যে সে ডার্সিকে চিনতেই শুধু ভুল করেনি, তাকে প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারেও বড়ো বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে । Pride and Prejudice Bangla Summary

লংবার্নে ফিরে এলিজাবেথ জানতে পারে লিডিয়া বেনেট বদমাশ উইকহ্যামের প্রেমে পড়েছে । সে তার পিতাকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বলে, কিন্তু তিনি কিছুই না করার সিদ্ধান্ত নেন । শীঘ্রই এলিজাবেথ গার্ডিনার দম্পতির সাথে বেড়াতে যায় । সে তাদের সাথে জনাব ডার্সির সুবিশাল পেম্বারলি এস্টেটে গমন করে এবং নিজেকে সেই বাড়ির গৃহিণী হিসেবে কল্পনা করতে শুরু করে, যখন ডার্সি তার সামনে আসে এবং এলিজাবেথকে তার বোন জর্জিয়ানার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, সে আরও অভিভূত হয়ে পড়ে । বিংলেও সেখানে উপস্থিত হয় এবং অঙ্গিকার করে যে, সে জেনকে আগের মতোই ভালোবাসে । এরই মধ্যে এলিজাবেথ জেনের কাছ থেকে একটি চিঠি পায়, যার মাধ্যমে সে জানতে পারে যে লিডিয়া উইকহ্যামের সাথে পালিয়েছে । তাকে দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে হয় । মেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে । এই আশঙ্কায় বেনেট পরিবার লন্ডনে লিডিয়ার খোঁজ করতে থাকে ।

Read More: A Tale of Two Cities Bangla Summary

এক সময় মি: গার্ডিনার তাদেরকে খুঁজে বের করেন । তখন উইকহ্যাম লিডিয়াকে বিয়ে করার বিনিময়ে যৌতুক দাবি করে সে জানায় যে অনেক লোক তার কাছে টাকা পায় । এই সব দেনা পরিশোধের জন্য যেন তাকে সহায়তা করা হয় । শীঘ্রই উইকহ্যাম ও লিডিয়া বিবাহিত দম্পতি হিসেবে ফিরে আসায় বেনেটদের ধারণা হয় যে মি: গার্ডিনার হয়তো যৌতুকের দাবি মেনে নিয়েছেন অথবা মিটিয়ে দিয়েছেন । মিসেস বেনেট ভেবে আনন্দিত হন যে তার অন্তত একটি মেয়ে পাত্রস্থ হয়েছে (যদিও মি: বেনেট মোটেই খুশি হতে পারেননি) । এলিজাবেথ জানতে পারে যে মি: গার্ডিনার নন, তার প্রতি ভালোবাসা থেকে মিঃ ডার্সিই উইকহ্যামের সব দাবি মিটিয়ে দিয়েছে । বিংলে ও ডার্সি নেদারফিল্ড ফিরে আসে এবং অবশেষে বিংলে জেনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় । জেন সানন্দচিত্তে তা গ্রহণ করে । ডার্সি ব্যবসায়িক কাজে লন্ডনে গেলে সেই সময় লেডি ক্যাথেরিন অপ্রত্যাশিতভাবে গ্রামে আসেন ও এলিজাবেথের সাথে দেখা করেন । তিনি তার উপর চাপ প্রয়োগ করেন যেন সে ডার্সিকে বিয়ে না করার প্রতিশ্রুতি দেয় । এলিজাবেথ, কথা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে । Pride and Prejudice Bangla Summary

লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর ডার্সি আবারো এলিজাবেথকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং এলিজাবেথ তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করে । ডার্সি তার অতিরিক্ত অহংবোধের কথা স্বীকার করে এবং তার বিভিন্ন সময়ের অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে । এলিজাবেথও স্বীকার করে যে সে ডার্সির সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করত । শেষ পর্যন্ত জেন-বিংলে ও এলিজাবেথ-ডার্সি উভয় জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং বেনেট পরিবার তাদের এই আনন্দে শামিল হয় । Pride and Prejudice Bangla Summary

Characters of Pride and Prejudice

এলিজাবেথ বেনেট

উপন্যাসের প্রধান চরিত্র । মি: বেনেটের পাঁচ কন্যার মধ্যে দ্বিতীয়, সবচেয়ে বুদ্ধিমতী ও বিচক্ষণ । সে সুশিক্ষিত এবং রসিক । তার কথাবার্তায় অনেক সময় বাস্তববুদ্ধির সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায় । ডার্সির সম্পর্কে যেসব ভুল ধারণা সে পোষণ করত তা ক্রমেই দূরীভূত হয় এবং দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় । উইকহ্যামের সৌম্য চেহারা ও কমনীয়তা এলিজাবেথকে আকৃষ্ট করে । কিন্তু পরবর্তীতে তার বিভিন্ন কুকীর্তি সম্পর্কে ডার্সির আপ্তবাক্য শুনে সে উইকহ্যামের প্রকৃত রূপ উপলব্ধি করতে পারে এবং ক্রমেই ডার্সির ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে । Pride and Prejudice Bangla Summary

ফিটজউইলিয়াম ডার্সি

একজন ধনী যুবক, পেম্বারলি এস্টেটের মালিক এবং লেডি ক্যাথেরিন ডি বার্গের বোনপো । বুদ্ধিমান ও সৎ হওয়া সত্ত্বেও প্রচণ্ড অহংবোধের কারণে সে সামাজিক মর্যাদায় তার অধঃস্তন মানুষের তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে । উপন্যাসের কাহিনির ধারায় সে ক্রমেই তার আভিজাত্যবোধ সংবরণ করে এবং এলিজাবেথের দৃঢ় চরিত্রের কারণে তাকে পছন্দ করতে শুরু করে ।

জেন বেনেট

বেনেট কন্যাদের মধ্যে সবার বড়ো এবং সবচেয়ে সুন্দরী । এলিজাবেথের তুলনায় যথেষ্ট সংযত ও রক্ষণশীল । যে সহজ মাধুরী নিয়ে জেন ও বিংলের সম্পর্ক এগিয়ে চলে, তা এলিজাবেথ ও ডার্সির দ্বন্দ্বের বিপরীতে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ।

চার্লস বিংলে

অত্যন্ত ধনী যুবক, ডার্সির অন্তরঙ্গ বন্ধু । সে বেনেট পরিবারের আবাসস্থলের বাড়ির নিকটবর্তী নেদারফিল্ড এস্টেট ক্রয় করে, এবং এ ঘটনাই উপন্যাসের কাহিনিকে ভিত্তি প্রদান করে । বিংলে বন্ধুবৎসল, সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং তার মনে কখনোই কোনো দুরভিসন্ধি স্থান পায় না । উপন্যাসের প্রথমভাগে ডার্সি একজন অসৌজন্যপূর্ণ মনোভাবের ব্যক্তি হিসেবে প্রতীয়মান হলেও বিংলে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী এক চরিত্র হিসেবে পাঠকের মনে, সার্থকভাবে স্থান করে নেয় । Pride and Prejudice Bangla Summary

মি: বেনেট

বেনেট পরিবারের কর্তা, মধ্যম আয়ের একজন ভদ্রলোক এবং পাঁচজন অবিবাহিত কন্যার পিতা । তিনি একজন গম্ভীর অথচ রসিক ব্যক্তি এবং কঠোর শ্লেষাত্মক হাস্যরসে পটু, যে প্রতিভা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর স্ত্রীকে রাগিয়ে তুলতে কাজে লাগান। যদিও তিনি তাঁর মেয়েদের খুবই ভালোবাসেন, (বিশেষ করে এলিজাবেথকে), তিনি অধিকাংশ সময়েই দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে ব্যর্থ প্রতিপন্ন হন ।

মিসেস বেনেট

মি: বেনেটের পত্নী; একজন নির্বোধ, বাচাল মহিলা । উপন্যাসের অন্যতম হাস্যকর চরিত্র । মেয়েদের বিয়ে দেয়াই তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান । তার কাণ্ডজ্ঞানহীন এবং অনেক ক্ষেত্রে অনুচিত ব্যবহারের কারণে যেসব ব্যক্তিকে তিনি মেয়েদের পাত্র হিসেবে পছন্দ করেন, তাদেরকে হাতছাড়া করেন এবং পরে হাহাকার করেন ।

উইকহ্যাম

সুদর্শন, ভাগ্যান্বেষণে মত্ত সেনাবাহিনীর তরুণ কর্মকর্তা । লিডিয়া বেনেটকে নিয়ে পালিয়ে যায় । অনেক নাটকীয় ঘটনার পর উইকহ্যাম ও লিডিয়ার বিয়ে হয় ।

লিডিয়া বেনেট

বেনেট কন্যাদের মধ্যে কনিষ্ঠ । গালগল্প করতে পছন্দ করে, অপ্রাপ্তবয়স্ক, বোকা ও আত্মকেন্দ্রিক । এলিজাবেথের সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের অধিকারিণী । নাটকের লিডিয়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত উইকহ্যামের সাথে পালিয়ে যায় । Pride and Prejudice Bangla Summary

মি: কলিন্স

বাক্যবাগীশ ও হাস্যকর রকমের নির্বোধ একজন ধর্মযাজক, মি: বেনেটের যাবতীয় সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী । তার সামাজিক মর্যাদা মোটেও উল্লেখযোগ্য নয় । কিন্তু লেডি ক্যাথেরিন ডি বার্গ তাঁর পৃষ্ঠপোষক- একথা সবাইকে বলে বেড়াতে তিনি খুবই পছন্দ করেন । এছাড়া তিনি অভিজাত ব্যক্তিদের যাচ্ছেতাই প্রশংসা ও চাটুকারিতা করেন ।

ক্যারোলিন

চার্লস বিংলের বোন, আপন, সামাজিক মর্যাদা সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন । সে এলিজাবেথের মধ্যবিত্ত জীবনযাপন সম্পর্কে অতিরিক্ত অবজ্ঞা পোষণ করে । ডার্সির মনোযোগ আকর্ষণের জন্য তার ব্যর্থ চেষ্টা মূলত ডার্সিকে এলিজাবেথের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট করে তোলে । Pride and Prejudice Bangla Summary

লেডি ক্যাথেরিন ডি বার্গ

একজন ধনী, কর্তৃত্বপ্রিয় অভিজাত মহিলা; মি: কলিন্সের রক্ষাকর্তা এবং সম্পর্কে ডার্সির চাচী । শ্রেণি বৈষম্যের প্রতিমূর্তি লেডি ক্যাথেরিন বারবার মধ্যবিত্ত পরিবারের কন্যা এলিজাবেথকে তাঁর সৎ বংশজাত বোনপো ডার্সির থেকে দূরে থাকার জন্য আদেশ করেন । Pride and Prejudice Bangla Summary

মি: ও মিসেস গার্ডিনার

মিসেস বেনেটের ভাই ও তাঁর স্ত্রী । মি: ও মিসেস বেনেটের তুলনায় এই দম্পতিই বেনেট কন্যাদের অধিক যত্নশীল, স্নেহশীল ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন অভিভাবক হিসেবে প্রতিপন্ন হয় ।

শার্লট লুকাস

এলিজাবেথের অন্তরঙ্গ বন্ধু । শার্লট কখনোই বিয়ের ক্ষেত্রে প্রেম-ভালোবাসাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে না। মি: কলিন্সের তরফ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ামাত্রই তা সে গ্রহণ করে ।

জর্জিয়ানা ডার্সি

ডার্সির বোন, অত্যন্ত রূপসী এবং লাজুক পিয়ানোবাদনে পারদর্শী ।

মেরি বেনেট

বেনেট বোনদের মধ্যে তৃতীয়; বইপ্রেমী এবং আচারসর্বস্ব । এই উপন্যাসের সবচেয়ে একঘেয়ে চরিত্র । Pride and Prejudice Bangla Summary

ক্যাথেরিন বেনেট

বেনেট বোনদের মধ্যে চতুর্থ । লিডিয়ার মতোই সেনাসদস্যদের প্রতি বিমোহিত । কিটি নামেই বেশি পরিচিত ।

মিসেস হার্স্ট

সে তার বোন ক্যারোলিনের মতোই অহংকারী । ডার্সি যখন তার ভাইকে জেনের থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চেয়েছে তখন সে ডার্সিকে সমর্থন করেছে । সুযোগ পেলেই সে এলিজাবেথের ছিদ্রান্বেষণ করেছে ।

মি: হার্স্ট

এই উপন্যাসে তার ভূমিকা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় । তাঁকে পানভোজন এবং কার্ড খেলা ছাড়া আর কিছু করতে দেখা যায়নি ।

স্যার উইলিয়াম লুকাস ও লেডি লুকাস

স্যার উইলিয়াম ব্যবসা করে । কিছু অর্থের মালিক হয়েছিলেন এবং নাইট উপাধি পেয়েছিলেন। তিনি কিছুটা দুর্বলচেতা মানুষ এবং ধনীদের ঐশ্বর্য দেখলে অভিভূত হতেন। লেডি লুকাসকে মিসেস বেনেটের তুলনায় খুব একটা বুদ্ধিমতি বলা চলে না । শার্লট কলিন্সকে বিয়ে করার পর তিনি মনে করেন তিনি মিসেস বেনেটকে হারিয়ে দিয়েছেন ।

মিসেস ফিলিপস

তিনি মিসেস বেনেটের ছোটো বোন । মেরিটনে স্বামীর সাথে বসবাস করতেন । মিঃ বেনেটের মেয়েরা সময় সুযোগ পেলেই তার বাসায় বেড়াতে যেত ।

কনেলি ফিটজউইলিয়াম

তিনি এক লর্ডের কনিষ্ঠ সন্তান এবং ডার্সির জ্ঞাতিভাই । মানুষ হিসাবে ভদ্র ও গ্রহণযোগ্য তবে নিজ সামাজিক মর্যাদা সম্বন্ধে সচেতন । এলিজাবেথের সাথে তার একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ।

কনেলি ফস্টার

এই উপন্যাসে এই সেনা কর্মকর্তার কোনো সংলাপ নেই । লিডিয়া তার স্ত্রীর বান্ধবী । ব্রাইটনে তার বাসা থেকেই লিডিয়া উইকহ্যামের সাথে পালিয়ে যায়। অবশ্য এর পর তিনি বেনেট পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ।

মিসেস রেনল্ডস

ডার্সি পরিবারের মালিকানাধীন পেম্বারলী হাউসের হাউসকীপার ।