Bangla Summary of The Lake Isle of Innisfree
এই কবিতায় কবি “I” এর ব্যবহার করেছে। I দ্বারা মূলত কবি উইলিয়াম ইয়েটস কে বোঝানো হয়েছে। তিনি তার কল্পনার আইল্যান্ড Innisfree তে যেতে চান। এটি একটি কবির কাল্পনিক আইল্যান্ড। তিনি সেখানে মাটি এবং নলখাগড়া দিয়ে নিজের জন্য একটি ছোট্ট ঘর বানাবেন এবং মাটি এবং নলখাগড়া তিনি ঘরটির দেয়াল বানানোর জন্য ব্যবহার করবেন। তিনি যখন সেই আইল্যান্ডে বাস করবেন তখন সেখানে থাকার জন্য তার কিছু খাবার প্রয়োজন হবে। আর এই খাবারের জন্য তিনি তার কেবিনের পাশে নয় সারির সিমের গাছ লাগাবেন। আর তার বাগানে মৌমাছিরা তাজা মধু খাওয়ার জন্য উড়াউড়ি করতে থাকবেন। কবি বলেন যে সে খোলা জায়গায় তার ঘর তৈরি করবেন। যেখান থেকে মৌমাছির গুঞ্জনের শব্দটি তিনি খুব ভালো ভাবে শুনতে পাবেন। এভাবে এই প্রথম স্তবকে কবি মানুষের জৈবিক চাহিদার কথা বলেছেন অথাৎ খাবার এবং আশ্রয় এর কথা বলে প্রথম স্তবটি শেষ করা হয়।
দ্বিতীয় স্তবকে কবি বলেছেন, Innisfree এই আইল্যান্ড এ আসা মাত্রই তিনি ধীরে ধীরে শান্তি বোধ করতে থাকেন অথাৎ ধীরে ধীরে শান্তি তার মনে অনুভূত হতে থাকে। তিনি এই শান্তির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন অর্থাৎ তিনি কিভাবে শান্তি বোধ করেন সে কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন যে সকালে যখন আকাশের দৃশ্য খুবই স্পষ্ট হয় না অর্থাৎ পূর্বদিকে সূর্য উদয় হওয়ার আগে আকাশ যখন মেঘাচ্ছন্ন হয়ে থাকে তখন তিনি মনে করেন সকাল যেন চাদরে ঘোমটা দিয়ে আছে। এই দৃশ্য তাকে শান্তির অনুভূতি দেয়। এছাড়াও তিনি বলেছেন যখন পুরুষ ঝিঝিপোকারা গান গায় তখন সেই শব্দটি কবিকে কে প্রশান্তি এনে দেয়। মধ্যরাতে তিনি যখন আকাশের ঝিকিমিকি আলো দেখেন তখন সেই আলোগুলো কবিকে প্রশান্তি এনে দেয়। বিকেলে যখন সূর্যের আলো একটু বেগুনি রং ধারণ করেন তখন কবি যেন তার মনের ভিতরে একটা শান্তির অনুভূতি পায়। সন্ধ্যায় যখন তিনি আকাশের পাখি উড়তে দেখেন তখন তিনি আবারও শান্তি বোধ করেন। এভাবেই দ্বিতীয় স্তবকে spiritual pleasure-এর কথা বলা হয়েছে।
তৃতীয় স্তরে কবি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি আবারো জেগে উঠবেন অর্থাৎ তিনি আবারো সেই দ্বীপে যাবেন কারণ তিনি সবসময়ই কল্পনা করতে থাকেন যে নদীর জল উপচে পড়ার শব্দ তার কানে এসে লাগছে অর্থাৎ নদীর জল যখন তীরে এসে আঘাতপ্রাপ্ত হয় আর এই আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে যে শব্দ সৃষ্টি হয় সেই শব্দটি বারবার যেন কবির কানে এসে দোলা দিচ্ছে। আবার কবি যখন ধূসর ফুটপাতে দাঁড়ান তখন কবি তার হৃদয়ের গভীর থেকে শুনতে পান কে যেন তাকে ডাকছে অর্থাৎ সেই আয়ারল্যান্ড সেই দিনগুলো তাকে আবার ডাকছে। এইভাবে কবি মানুষের আত্মার সাথে বাস্তব পৃথিবীর মিল খুঁজে পান।