Sailing to Byzantium Bangla Summary
Sailing to Byzantium কবিতাটি ৪টি স্তবকে রচনা করা হয়েছে যার প্রতিটি স্তবকে রয়েছে ৮টি করে লাইন। এই কবিতায় আর প্রতি স্তবকে ৮টি করে লাইন রয়েছে। এই কবিতাটি পঞ্চমাত্রার ছন্দে রচিত এবং এর প্রত্যেক স্তবকের ছন্দমিল হল abababcc ।
দেশের কথা উল্লেখ করতে কবিতার শুরুতে কবি This নামক নির্দেষক সর্বনামটি ব্যাবহার না করে That ব্যাবহার করেছেন। যার মাধ্যমে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যে তিনি এখন আর নিজের দেশে নেই। আর সম্ভবত নিজের দেশের বাহিরে দূরে কোথাও থেকে দেখছেন। তিনি তার নিজের দেশ ছেড়ে অন্য কোনো দেশে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। এখান থেকে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি যে তিনি বাইযানটিয়ামের এর দিকে যাত্রা শুরু করেছেন।
এর পরবর্তী অংশে কবি ব্যাখ্যা করেছেন বাইযানটিয়াম এই দেশটি কেন বৃদ্ধদের জন্য নয়। কবি তার দেশ ছেরে Byzantium চলে যাচ্ছেন। তিনি বলেন যে এই দেশে বৃদ্ধদের কোনো স্থান নাই। কবি যৌবনের চিহ্ন হিসেবে কিছু দৃশ্যের কথা উল্লেখ করেছেন যেমন যুবকেরা হাতে হাত ধরে যাচ্ছে, পাখিরা গান গাচ্ছে, মাছেরা পানিতে সাঁতার কাটছে ইত্যাদি। পৃথিবীতে যেন এক সংগীত যেন তার মহিমা ছড়াচ্ছে। কিন্তু কবি বলেন এই সঙ্গীতের মাধ্যমে যুবকেরা তাদেরকে অথাৎ বৃদ্ধদের উপহাস করছে। (Sailing to Byzantium Bangla Summary)
এর পরের স্তবকে কবি বৃদ্ধদের তুলনা করেছেন পুরনো জীর্ণশীর্ণ কোটের মত তুচ্ছ জিনিসের সাথে যেগুলোকে লাঠির মাথায় আটকে রাখা হয় অর্থাৎ ঝুলিয়ে রাখা হয়। কবি বলেন বৃদ্ধদের অবস্থার কোন উন্নতি হয় না যতক্ষণ না তাদের আত্মা শরীর থেকে বের হয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রশান্তি গাইতে গাইতে স্বর্গে চলে না যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে কবি শান্তির আশায় বাইজেনটিয়াম নামক শহরে চলে যেতে চান যেখানে যিশুখ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এরপরে কবি শহরের কিছু শিল্পকর্মের বর্ণনা দেন যার মাধ্যমে তিনি তার মনের কিছু ইচ্ছাশক্তি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন তার দেহ থেকে আত্মা বের হয়ে গেলে সে আর ফিরে আসতে চান না বরং তিনি স্বর্গের স্বর্ণ আসনে বসা পাখি হওয়ার ইচ্ছা শক্তি প্রকাশ করেন। তিনি চান সেখানে তিনি সকল পুন্য আত্মাকে স্বর্গের গান শুনাবেন। আর তার গানে থাকবে অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কথা।
কবি এই কবিতায় যে শহরের কথা বলেছেন পরবতীতে সেই শহরের নামকরন করা হয় কনস্টানটিনোপল। আর এই শহর টি বর্তমানে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত। কবি তার বাইজেন্টাইন এর ভ্রমন কে রুপক হিসেবে দেখিয়েছেন। কবি বলেন যেহেতু এইদেশ শুধুমাত্র যুবক এবং যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষদের জন্য এই খানে বৃদ্ধদের কোনো জায়গা নেই সেহেতু তিনি এই দেশ ছেড়ে অমরত্তের দেশে অর্থাৎ বাইজেন্টিয়ামে চলে যেতে চান। যেখানে মানুষের বয়সে কোন সমস্যা নয় এবং যেখানে তিনি তার জীবন সুন্দরভাবে অতিক্রম করে যেতে পারবেন।
পরবর্তী পরিস্থিতি বৃদ্ধরা যখন তাদের এই সামরিক অবস্থা থেকে অর্থাৎ তাদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন তখন কবি নিজেকে মুক্তি কামনা করেন। এই কবিতায় কবি পুনরাগমন রেজারেকশন শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে কবি বুঝিয়েছেন এই পৃথিবীতে জিসাস ক্রাইস্ট ফিরে আসবেন এবং সকল অন্যায় অত্যাচার এবং দুর্দশার বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ করবেন তখন কবির যাত্রা পুণ্যতা পাবে। (Sailing to Byzantium Bangla Summary)